December 24, 2024, 5:55 pm
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ পাহাড় প্রাকৃতিক সম্পদ এই সম্পদ রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব হলেও একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে আসছে । কক্সবাজার খুরুশকুল ১ নং খতিয়ান ভুক্ত স্থানে ৫০ ফুট উচ্চতার একটি পাহাড়ের ৩০ শতকের বেশি জায়গা কেটে ফেলা হয়েছে।
এরকম তথ্যের ভিত্তিতে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশে পরিদর্শক জনাব ফাইজুল কবির ও সঙ্গীয় ফোর্স এবং অভিযোগকারী পাহাড় কাটার স্থানটি পরিদর্শন করে এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাথে কথাবার্তা বলে যাদের সহযোগিতায় পাহাড় কাটা হয়েছে, পাহাড় কেটে যারা প্লট তৈরি করছে, এরকম পাঁচজনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা হয়। মামলা নং- ৪০/১৮৮ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১১৯৫ সংশোধিত ২০১০ রুজু করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ মুসাইব ইবনে রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।তিনি দুর্নীতি রিপোর্ট ২৪.কমকে জানান, একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন যাবত পাহাড় কেটে সরকারি খাস জমি দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে। তারা সরকারি খাস জমিকে প্লট আকারে তৈরি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাহাড় কাটার স্থানটি পরিদর্শন করে এলাকার সকলের সাথে কথাবার্তা বলে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করি। এই মামলার আসামিরা ১/নবাব মিয়া ২/নাছির উদ্দিন রুনো ৩/ রাশেদুল মজিদ ৪/ সিরাজুল ইসলাম মহসিন শেখ। এদের সাথে আরও ৮-১০ জনের একটি চক্র আছে যাদেরকেও মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি রিপোর্ট ২৪.কমকে তিনি জানান, আমরা পাহাড় কাটার স্থান থেকে আসামিদের ফেলে যাওয়া শাবল, বেলচা, কোদাল , এক্সভেটর ডাম্পার জব্দ করেছি। আসামিদের মধ্যে অন্যতম রাশেদুল মজিদ নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়। তার সম্পর্কে খুরুশকুলের স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় রাশেদুল মজিদ দীর্ঘদিন যাবত একটি কুচুক্রী গোষ্ঠীর সাথে মিশে অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় সহযোগিতা করে আসছে শুধুমাত্র নিজের অপকর্ম আড়াল করার জন্য সাংবাদিকতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
এ বিষয় নিয়ে দুর্নীতি রিপোর্ট ২৪.কম এর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে, আমরা সব আসামিদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছি।